1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

২০২১ সালের নিউইয়র্কে লাগওর্ডিয়া ম্যারিয়টে আমেরিকায় বিখ্যাত ডাক্তারদের মিলনমেলা নিয়ে যা বললেন- কনকচাপা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৮১ বার পঠিত

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে লাগওর্ডিয়া ম্যারিয়টে আমেরিকার সমস্ত বাংলাদেশের বিখ্যাত ডাক্তারদের মিলনমেলায় গান গেয়েছিলাম। আমাদের দেশের কিংবদন্তি শিল্পী শ্রদ্ধেয় সৈয়দ আব্দুল হাদী ভাই ও তপন চৌধুরী দাদার সাথে মঞ্চ শেয়ার করেছিলাম।দারুণ সাফল্যময় ছিল সেই মঞ্চ।
তো গানের পরে যখন ফিরছিলাম তখন দেখলাম হোটেলের করিডোর কিছু স্টল।কাপড় চোপড় ও গয়নাগাটির দোকান। আমার নজর কাড়লো একটি বাংলাদেশের ক্রাফটের দোকান। বাঁশ কাঠ পাথর মাটির নানারকম ঐতিহ্যবাহী দ্রব্যাদি তাতে গুছিয়ে রাখা।দোকানী ভাই সম্ভবত একজন কারুশিল্প। তিনি ছবি তুলতে এগিয়ে এলেন।উনি বললেন আপা,আমার দোকান থেকে কিছু একটা নিন আপনি, আমি গিফট করতে চাই।আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম। হঠাৎ এই হ্যারিকেন এর দিকে চোখ গেলো।
ছোট বেলায় শান্তিবাগ থেকে বাবা যখন মাদারটেক বাড়ি করলেন তখন আমরা সেখানে বাস করতে গিয়ে দেখি ইলেক্ট্রিসিটি গ্যাস পানি কিছু নাই যেগুলোতে আমরা অভ্যস্ত। তাতে আমাদের কোন অসুবিধা হয়নি।এতো সুন্দর গ্রামীণ পরিবেশ, ধান ক্ষেত টলটলে পুকুর! আমার ও আমাদের জীবন এর দ্বার প্রকৃতির মাঝে অবারিত হয়ে খুলে গেলো।
প্রতিদিন সাঁঝে হ্যারিকেন জ্বালাতে হতো। আব্বা শেখালেন কি করে হ্যারিকেন এ তেল ভরতে হয়,চিমনি পরিষ্কার করতে হয়,সলতে কাটতে হয়।এই কাজের দায়িত্ব আমি নিয়েছিলাম।আসরের ওয়াক্তের পরে আমি আগ্রহ ভরে এই কাজ করতাম। রাতে ঘুমানোর সময় হ্যারিকেনের সলতে ছোট করে দিলে ডিম লাইট হয়ে যেতো। তেল কমে গেলে আলো কমার বদলে আলো বেড়ে দপদপ আএয়াজে তা নিভে যেতো।সেই আলোয় কত পড়াশোনা করতাম, ছবি আঁকতাম, রাতের নিভুনিভু আলোয় ঘুমানোর সময় লুক্কায়িত ব্যক্তিগত ছোট একটি আয়না বের করে নিজেকে চাক্ষুষ করতাম আর নিজেই নিজের প্রেমে পড়তাম! হ্যারিকেন আমার জীবন একটি আলো আঁধারিয়া আনন্দিত অধ্যায়। এই ভালোবাসা থেকে আমি বছর দশেক আগে একটা হ্যারিকেন কিনেছিলাম ও।কিন্তু সেভাবে তা আর ব্যবহার করা হয়নি।কিন্তু আমি মনে মনে সেই আলো সেই কেরোসিনের সুবাসে আজও স্মৃতিকাতর হই।
উনি আমাকে জোর করেই হ্যারিকেনটা গিফট করলেন যা এখন আমার ড্রইংরুমে শোভা পায়।কোন কৃষ্টালের ডেকোরেশন পিসের চেয়ে হ্যারিকেন আমার কাছে অনেক দৃষ্টিনন্দন শোপিস বটে।
আল্লাহর ছক আগে থেকে বোঝে এমন সাধ্য কার আছে! উন্নয়নের জোয়ারে ভাসা বাংলাদেশের এখন এই হ্যারিকেন খুবই দরকার। আমি ভাগ্যবান এটা আমার সংগ্রহে আছে।কিন্তু বাজারে এর সলতে আর কেরোসিন পাবো তো? এসব যে কোথায় পাওয়া যায় আসলেই আমি জানি না!
ফেইছ বুক নেয়া সংগৃহিত।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..